বোয়ালমারীতে এক মেম্বারের নেতৃত্বে স্বামী স্ত্রীকে মারধর অনধিকার প্রবেশ করিয়া ঘর তল্লাশি, থানায় অভিযোগ


বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার বাহাউদ্দীনের নেতৃত্বে স্বামী স্ত্রীকে মারধর প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া নিজেরা ঘর তল্লাশি করা এবং ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে দিয়ে তাদের মানহানিকর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বোয়ালমারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন একই ইউনিয়নের কেশরাইল গ্রামের আজিজুল শেখের ছেলে সাদ্দাম শেখ (৩৯)। তিনি বলেন, আমি মুজুরদিয়া গ্রামের বিধবা রিনা বেগমকে ইসলামী শরীয়হ্ মোতাবেক গত চার মাস পূর্বে বিবাহ করি। সেই সূত্রে আমি আমার স্ত্রীর বাড়িতে যাওয়া আসা করি। গত ৮ সেপ্টেম্বর রাত দশটার দিকে কাজ শেষ করে আমি আমার স্ত্রী রিনা বেগমের মজুরদিয়ায় বাসায় গেলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ওৎ পেতে থাকা বাহাউদ্দিন মেম্বারসহ তার নেতৃত্বে মুজুরদিয়া গ্রামের কায়েম মোল্লা, মাহফুজ শেখ,নুর ইসলাম, সোহেল শেখ,সাগর শেখ,লাল চান,মুরাদ মাতুব্বর, শিমুল শেখ, শাহাদাৎ শেখ ও বেড়াদী গ্রামের জাকির হোসেনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ১০/১৫ জনের নামসহ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন,বাহাউদ্দীন মেম্বারের নেতৃত্বে অভিযুক্ত ১১ জন আসামি ছাড়াও ১০/১৫ জনের হাতে থাকা লোহার রড,লোহার পাইপ,বাঁশের লাঠি ও অনান্য লাঠি সোটা নিয়ে মব সৃষ্টি করে আমার নাম ধরে ডাকাডাকি এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি এবং আমার স্ত্রী ঘর থেকে বেরিয়ে এসে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে আসামিরা আমার মাথা,বুক,পিঠ,মাজা,ঘাড়,কপালসহ বিভিন্ন স্থানে নিলাফোলা ও রক্তাক্ত জখম করে। আমি নিরুপায় হয়ে বোয়ালমারী থানা ও জয়নগর ফাঁড়িতে ফোন দিলে পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে। সাদ্দাম আরও বলেন, রাতে কোথাও যেন পালিয়ে না যাই সেজন্য মব সৃষ্টি করে আমার ঘরের গেটে তালা দিয়ে রাখে। পরের দিন ৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১০ টার দিকে নিজেরা গেটের তালা খুলে আমার ঘরে অনধিকার প্রবেশ করিয়া ঘরে থাকা শোকেস,ওয়ারড্রব, বাক্সে, সকল ধরনের ড্রাম,প্লাস্টিকের বোয়াম, খাটের উপর নীচে এলোপাতাড়ি কি যেন খুঁজাখুঁজি করে। কিছু না পেয়ে আমাকে পরকিয়ার বিচার করবে বলে শালিশ বসায় নিজেরা। আমার বিবাহিত বৈধ স্ত্রী হওয়ার জন্য কিছু করতে না পেরে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে গ্রাম ছাড়া করে দেন। স্থানীয়ভাবে আমি চিকিৎসা নেই যখম গুরুতর হওয়ার জন্য ১১ সেপ্টেম্বর বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মেম্বার বাহাউদ্দীন বলেন, আমি কোন অন্যায় করিনা অন্যায়কে প্রশ্রয় দেই না। আমি ওই রাতে লোকজন দেখে এগিয়ে যেয়ে পরিবেশ শান্ত করি। আমাকে নিয়ে যে অভিযোগ দিয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ তদন্তে গিয়েছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।